সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা খালের সংযোগ শহরের বাবুরাইল খাল নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মাটি কাটায় গভীর খাদ তৈরী হয়েছে। তবে উপরের দুই পাশে রেলিং না দেয়ায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বাবুরাইল থেকে কাশিপুর পর্যন্ত খালের বিভিন্ন অংশে রাতে শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, আশির দশকে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ ছিল তিন কিলোমিটারের বাবুরাইল খাল। এ খাল হয়ে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাটসহ নানা পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। নব্বইয়ের দশকের পর থেকে খালটি আস্তে আস্তে দখল ও ভরাট হতে থাকে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর তিন কিলোমিটার বাবুরাইল সংযোগ খাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই সম্পর্কিত সংবাদ আপনার জন্যঃ
বাবুরাইল এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছে, এলাকার পরিবেশ সুন্দর হবে এই খাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে। তবে ঠিকাদারের গাফলতির জন্য রাতে খালের বিভিন্ন স্থানে দূর্ঘটণা ঘটছে। খালের দুই পাশে রেলিং না থাকায় রিকশা পড়ে যাচ্ছে প্রায় সময়। পথচারীরা চলাচলের সময় খালের গর্তে পরে আহত হচ্ছে। স্থানীয়রা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান পাশাপাশি দ্রুত ওয়াকওয়ে নির্মাণের অনুরোধ করেন।
সূত্র মতে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী বলেছিলেন, ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের আওতায় বাবুরাইল খাল খনন, দুই পার সংস্কার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং দৃষ্টিনন্দন লেক করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী মীনা হোটেলের পাশ থেকে ম-লপাড়া মোড় পর্যন্ত খাল খনন, খালের দুই পাড় সংস্কার, ওয়াকওয়ে ও লেক করা হবে।